০৫/০৩/২০২২ ইং রোজ শনিবার। ২য় পিরিয়ডে অর্থনীতি ক্লাস হবে। আমার অর্থনীতি নেই! তাই লাইব্রেরির উদ্দেশ্য যাত্রা। সোহান স্যারের সাথে দেখা সালাম দিয়ে তার হাত থেকে ল্যাপটপ নিলাম হাতে। ইতিমধ্যে সানজিদা ম্যাম আসলো তাকেও সালাম দিলাম। তিনি ইংরেজি ক্লাস নেন। বললেন ইংরেজিতে সমস্যা হলে জানাবে। কিছু উপদেশও দিলেন। এরপর সোহান স্যার ল্যাপটপ নিয়ে তার সাথে দেখা করতে আসা লোক নিয়ে লাইব্রেরিতে বসলো। আমিও লাইব্রেরিতে গিয়ে উপস্থিতর খাতায় নাম, রোল, বিভাগ, শ্রেণি, বইয়ের নাম, টাইম ইত্যাদি লিখে বইটি নিয়ে বসি। বইটি বন্ধের আগে কয়েক পৃষ্টা পরেছিলাম। ও বইয়ের নামই তো বলা হয়নি। বইটির নাম হলো "শিক্ষাদর্শন"
শিক্ষা সম্পর্কে তেমন লেখা পাওয়া প্রায় দুষ্কর। তবুও কেন জানি এ সম্পর্কে জানতে ভালো লাগে। তাছাড়া এই বইটিতে যুক্ত আছে দর্শন। কেনই জানি শব্দ দু'টি ভালোই লাগে। যাই হোক আমি যেখানে ছিলাম তার বিপরীতে সাকিব ও রিয়াজ। ওরা প্রচুর পড়তে ছিল! আমিও পড়া শুরু করলাম। হঠাৎ করে ওদের ভিতর একজন বললো এটা তো স্যারের বই মনে হয়। আমি বইটি পড়লেও লেখকের নাম আগে খেয়াল করিনি। সাকিব বললো, স্যার যেহেতু দর্শনের তাই এটা তিনিই হবেন। বইটি ছিল ২০১৪ সালের সংস্কার। স্যারের নামের নিচে অন্য একটি কলেজের নাম লেখা। রিয়াজ বললো, স্যার আগে ওখানে ছিলেন। তারপর আমার মনে হলো হ্যাঁ এটা ঠিক হতে পারে। কেননা আমাদের কলেজ তো ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বইটি একহাত থেকে অন্য হাতে যাচ্ছে। মনের ভিতরে বেশ চিন্তা- এটা কি স্যারের বই?
এরপর সোহান স্যারের দিকে চোখ পড়লো। স্যার সেই লোকের সাথে কথা বলছে। আমি বইটি নিয়ে স্যারের কাছে গেলাম। তারপর স্যারের থেকে কথা বলার অনুমতি নিলাম,
- স্যার একটু কথা বলতে পারি!
- হ্যাঁ, বলো। ( এখানে একটু বলে নেই, স্যার অনেক হাসোজ্জল ভাবে কথা বলেন। যা বেশ ভালোই লাগে )
- স্যার এই বইটি কি আমাদের অধ্যক্ষ স্যারের লেখা? স্যার বইটি দেখে বললো- হ্যাঁ।
বিজ্ঞাপন
আবার ওদের কাছে এসে বসি। সাকিব প্রকাশনীর নাম লিখে নেটে সার্চ দেয়। নেটে দেখাচ্ছে না। তারপর এবার সিদ্ধান্ত নিলাম স্যারের অফিসে গিয়ে এই বই প্রাপ্তির স্থান জানবো। আমি ওদের বললাম সাকিব ও রিয়াজ যেতে রাজি হলো। তারপর আমরা আসলাম। সাকিব হয়তো কারো ডাক শুনে চলে গেছে। আমি আর রিয়াজ দারিয়ে ছিলাম দরজার পাশে। অধ্যক্ষ স্যারের অনুমতি নিয়ে ভিতরে গেলাম। বইটি সম্পর্কে স্যার কিছু কথা বললেন। এরপর স্যারের সাথে ছবি তুলে আমরা চলে আসি। পথে অফিস কক্ষের সামনে সোহান স্যারকে দেখে ধন্যবাদ জানালাম। কেননা তিনি না বললে এত জানতে পারতাম না। অতপর স্যার নিয়ে আবার অধ্যক্ষ স্যারের কাছে গেলাম। সোহান স্যার বইটির গুরুত্ব তুলে ধরেন। অধ্যক্ষ স্যার সোহান স্যারকে একটি বই গিফট্ করলেন। তারই ফলশ্রুতিতে বইটি পাওয়া সহজ হবে। এখন বইটি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবো।
~ মুহাম্মদ আল ইমরান।

Post a Comment