স্মৃতিকথা: কথা রাখিনি_মুহাম্মদ আল ইমরান

 


স্মৃতিকথা: কথা রাখিনি
লেখক: মুহাম্মদ আল ইমরান

কয়েকটি দিন আগে এবং এখনও মাঝেসাঝে শুনতে হয়, 'এখানের রাস্তা ভালো না, অনেক ধুলাবালি, আমি অসুস্থ হয়ে পরি, আমার পা ব্যথা হয়ে যায়- এরকম কথা।' এই সব বলে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড। হ্যাঁ, বলতেই পারে কারণ আমি ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড। একদিনের একটা ঘটনা বলি...

ক্লাস শেষে নিয়ম অনুযায়ী লাইব্রেরিতে পড়তে বসি। কিছুক্ষণ পরে ও কার সাথে যেন বের হয়ে গেল। যাবার সময় বললো, 'আমি বাহিরে আছি।' তাই পড়ার টার্গেট শেষ হওয়াতে আমি বাহিরে চলে গেলাম। ভাবলাম আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড বাহিরে অপেক্ষা করছে তাই অন্য দিনের চেয়ে তারাতাড়ি বের হলাম। কিন্তু একি কান্ড? আমাকে বললো বাহিরে থাকার কথা কিন্তু নেই! অনেক মন খারাপের পরে বাসার দিকে যাত্রা শুরু করি। পথে পথে ভাবছি আমার কি তবে ভুল ছিল ওর সাথে বন্ধুত্ব করা। ঐ সময়ের মন খারাপের উদাহরণ আমি দিতে পারবো না কিংবা বুঝিয়ে লিখতে পারবো না। যাই হোক আমি তো কলেজ থেকে চলে এসেছি। অন্য দিকে আমার ফ্রেন্ড একজনকে তাদের বাসা দেখাতে নিয়ে গিয়েছে। ওর মনে ছিল আমার কথা। সেই লোকটিকে নাও করতে পারে না। বাসায় নিয়ে গেলো। বাসা দেখানো তো শেষ। এবার ও ঠিক করলো আবার কলেজে আসবে। যে কিনা একবার এই কলেজে আসতে মন চায় না। সে আবার আসবে, কেননা আমাকে কথা দিয়েছিল! আমি তো এদিকে অপেক্ষার পরে চলে এসেছি তাও জানে না। ওর মনে পথের ধুলোবালির কথা মনে ছিল না তখন, ওর মনে শুধুই ছিল আসতে হবে, কথা রাখতে হবে। এদিকে ওর ছোট মামাতো বোন ওকে যেতে দেখে কান্না শুরু করলো। কান্নার পরে একটা রেজাল্ট আছে, আর সেটা হলো এবার ছোট মেয়েটি বাহিরে নামতে পারবে। আসলে ছোটরা চায় সবুজের বাতাস। কিন্তু শহরে সবুজ নেই। আছে শব্দ, কোলাহল, ধুলোবালি, দালান ইত্যাদি। তবে একদিন আসবে আলাদিন, তখন সবুজময় শহর পাওয়া যাবে।
এরপর ওরা দুজন কলেজে এলো। কলেজে এসে লাইব্রেরিতে আমাকে খোজ করলো। কিন্তু আমি তো এসেছি, আমি নেই ওখানে। তারপর আমার ফোন নম্বর ফোন দিল আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড।...

ফোনটা বের করার সময় হাত থেকে পরে গেল। ভাগ্যিস বালুর উপরে পরেছিল। স্কিন দেখা যাচ্ছিল না। টিসু দিয়ে স্কিন পরিষ্কার করে দেখি বেষ্ট ফ্রেন্ড। রিসিভ করে কথা বলি। ও তখন বলল কি করণে আমার কথা রাখেনি।  তারপর আমার মনে হলো আমি নিজেই কথা রাখিনি!
~ মুহাম্মদ আল ইমরান।

0/Post a Comment/Comments

Previous Post Next Post